• +8801706070705
    Call Us Now
Thumbnail

সিল্কের শাড়িতে করা যায় সব ধরনের কাজ। তবে সব সিল্কে সব ধরনের কাজ হয় না, এমনই জানালেন রাজশাহীর সপুরা সিল্কের ব্যবস্থাপক সাইদুর রহমান। সুতার ব্যবহারের বিষয়টাও বেশ জটিল। নানা ধরনের সিল্ক এখন তৈরি হচ্ছে এ দেশে। এর মধ্যে মসলিন, সফট সিল্ক, বলাকা, ডুপিয়ান, অ্যান্ডি উল্লেখযোগ্য। সিল্কের রাজ্যে বলাকা সিল্ক শ্রেষ্ঠ। এ গ্রেড সুতা ব্যবহার করে বানানো হয় এই সিল্ক। এই সুতা দিয়ে কাতান শাড়িও তৈরি করা হয়। মসলিনের মধ্যেই আবার তিন থেকে চার ধরনের মান থাকে, যেগুলো ১/১, ২/২, ২/৩ সুতার মাধ্যমে বানানো হয়। সুতার এ রকম ভিন্নতা সফট সিল্কের মধ্যেও দেখা যায়। তবে সফট সিল্ক তৈরি করার সময় সুতার ওজন যত বেশি হবে, মানও তত ভালো হবে। সফট সিল্ক বানানোর সময় থানকে গরম পানির মধ্যে সেদ্ধ করে নরম করা হয়। মটকা ও ডুপিয়ান সিল্ক মোটা সুতার মাধ্যমে করা হয়, জানালেন সাইদুর রহমান। এ ধরনের সিল্কের ওপর সব ধরনের কাজই করা যায়।

১. বলাকা সিল্কের মান খুব ভালো হয়। হাতের কাজ, নানা ধরনের প্রিন্ট করা হয় এই সিল্কের ওপর। তবে এ ধরনের দুটো রং দিয়েও সাজানো হচ্ছে শাড়িকে। পুরো শাড়ির মূল অংশের রং মেরুন। আঁচলটি কালো। এ ধরনের শাড়ির একটি সুবিধা—গয়না ও ব্লাউজ ভিন্নধর্মী হতে পারে। চাইলে সাধারণ কাটের ব্লাউজও পরতে পারেন।

২. কাঁথা ফোঁড় আমাদের দেশের ঐতিহ্য। এ ধরনের নিখুঁত হাতের কাজ যখন সিল্কের ওপর ফুটিয়ে তোলা হয়, আবেদনে চলে আসে আভিজাত্য। যেকোনো দাওয়াতে এ ধরনের শাড়ি ভিড়ের মধ্যেও মধ্যমণি করে রাখবে আপনাকে।

৩. সফট সিল্কে সুতার কাজ করা সম্ভব নয়। এতে কাপড় ফেঁসে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ কারণে ছাপা নকশাই এখানে ভরসা।

৪. সফট সিল্কে হালকা রঙের ওপর কালো জ্যামিতিক নকশা। গলায় ভারী রুপালি গয়না। যেকোনো বয়সেই মানিয়ে যাবে এই সাজ। সফট সিল্কে মূলত ব্লক, হাতে আঁকা ও স্ক্রিন প্রিন্ট করা হয়।

৫. গরমে দেখেই আরাম লাগবে এমন একটি শাড়ি। হালকা রঙের টাই-ডাই করা শাড়িটি নজর কাড়তে বাধ্য। খুব ভারী গয়না না পরলেই স্নিগ্ধতা বজায় থাকবে।

Copyright by Tasnim Fashion. All Rights Reserved
Designed & Developed by
Logo

All Categories